একটি অসম প্রেমের বিয়ের করুণ পরিণতি

কাতারের দোহা থেকে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের একটি বিমানযোগে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে আসেন প্রবাসী ১৭০ জন যাত্রী। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিমানটি পৌঁছানোর কথা থাকলেও তা পৌঁছে রাত ১১টায়। আর দেরিতে পৌঁছায় বিমানবন্দরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কেউ না থাকায় ওই ১৭০ জন যাত্রীকেই একটি কাঁচের ঘরে আটকে রাখা হয়। অবশ্য পরে যাত্রীদের চিৎতকার-চেঁচামেতিতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

ওই বিমানের এক যাত্রী চট্টগ্রামের রাউজানের বিনাজুরি ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এম কামরুল ইসলাম বাচ্চু। তিনি বলেন, ‘যাত্রী ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করার পর দেখি আমাদের কাঁচের একটি ঘরে ঢুকিয়ে বাহির থেকে লক করে দেয়া হয়েছে। পরে জানানো হলো কাস্টমস কর্মকর্তাদের কেউ নেই। তাই এখানেই বন্দি থাকতে হবে ১৭০ যাত্রীকে। ভোরে কাস্টমস কর্মকর্তা এলে চেকিং করে তারপর ছাড়া হবে।’
এই যাত্রী আরো বলেন, ‘একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ন্যাক্কারজনক ঘটনায় আমরা হতভম্ব হয়ে পড়ি। তাদের এ আচরণ কতটা দায়িত্বহীন ও ন্যাক্কারজনক তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পরে যাত্রীরা সকলে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা দরজা খুলে দেয়। এরপরই সকল যাত্রী একে একে কোনো ধরনের তল্লাশি ছাড়াই নিজ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, দায়টা যাত্রীদের নয়, কাস্টমস বিভাগের কোনো কর্মকর্তা সেই সময় দায়িত্বে না থাকায় এমনটা হয়েছে। নিরুপায় হয়ে আমাদেরকে এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

বিমানের আরেক যাত্রী ফেনীর আবুল কালাম বলেন, বিমানযাত্রী ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা তো জোরদার করা হয়েছে নানাভাবে। এরপরও দায়িত্বশীলদের অনুপস্থিতির কারণে এই ধরনের ঘটনা বিমানবন্দর ও দেশের জন্য লজ্জার ও শঙ্কার।